ফেসবুক হ্যাক হওয়ার অনেকগুলা পথ রয়েছে। একটু সচেতন না হলে আপনাকে চিরতরে
হারাতে হবে আপনার প্রিয় ফেসবুক একউন্টটি। বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত সফটওয়্যার
বা ফিশিং লিংকের মাধ্যেমে আপনার ফেসবুক হ্যাকিং হতে পারে। তাই ফেসবুক
একউন্টটির যত্ন নেওয়া খুব দরকার। আজকের আলোচনার বিষয় কি করে আপনার ফেসবুক
একাউন্টি হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা করবেন।
যখন আপনি ফেসবুকে কোন কুইজের উত্তর দেন, ফেসবুক গেম ইন্সটল দেন অথবা এপ্লিকেশন এড করেন, তখন অবশ্যই দেখেছেন,আপনার কাছে ফেসবুকের একসেস পারমিশন চাওয়া হয়। এই পারমিশন এক কথায় বলতে গেলে দেখা যায় আপনার সবকিছুই, অর্থাৎ, যখন আপনি পারমিশন দিয়ে দিলেন তার মানে হলো তারা চাইলে আপনার একউন্ট ব্যবহার করতে পারবে।এমনকি যখন আপনি লাইলে না থাকবেন তখন ও সম্ভব।
অন্যকথায়, আপনি যদি খেয়াল করে পারমিশন না পড়েন তাহলেই বিপদে পরবেন। বিশ্বাসযোগ্য এপ্লিকেশন পারমিশনে শুধু মাত্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চাইতে পারে আইডিতে ঢোকার পারমিশন নয়।
২। স্পামিং ভিডিও লিংক
ফেসবুক ব্যবহারে একটু সচেতন হোন, কারন স্পামাররা ফেসবুকে বিভিন্ন স্পামিং ভিডিও লিংক প্রচার করে থাকেন। দেখার আগ্রহ নিয়ে সেসব লিংকে ক্লিক করলেই বিপদে পরবেন। এসব ভিডিও লিংক বেশির ভাগই ফেসবুক হ্যাকিং লিংক। মনে রাখবেন ফেসবুকে কোন ভিডিও দেখতে হলে কখনোই আইডি পাসওয়র্ড চাইবে না। একটুখানি সচেতন না হলে ফেসবুক হ্যাকিং এর কবলে পরে যেতে পারে।
৩। ডাউনলোড নোটিফিকেশন
অনেক সময় যখন আপনি কোন ভিডিও দেখতে শুরু করেন তখন একটা নোটিফিকেশন পেতে পারেন, নোটিফিকেশনটা এমন হবে যে, সম্পর্ন ভিডিওটি দেখতে হলে আপনাকে এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল দিতে হবে অথবা ফেসবুক আপডেট করতে বলতে পারে। লিংকে প্রবেশ করে তথ্য শেয়ার করলেই বিপদ। তাই এসব ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
৪। ফেসবুক থেকে মেসেজ:
আপনার যদি ফেসবুকে কোন পপুলার ফ্যান পেজ থেকে থাকে তাহলে অনেক সময় কিছু মেসেজ পেয়ে থাকেন, যেমন ফেসবুক টিম, সিকুরিটি টিম, ফেসবুক সিকুরিটি ইত্যাদি।এগুলা হচ্ছে সেই মেসেজ যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে বধ্য করা হয়। ক্লিক করবেন তো মরবেন, সুতরাং এসব মেসেজকে এরিয়ে চলুন, ফেসবুক হ্যাকিং থেকে রক্ষা করুন।
ফেসবুক হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করার টিপস :
১। এপ্লিকেশন পারমিশনযখন আপনি ফেসবুকে কোন কুইজের উত্তর দেন, ফেসবুক গেম ইন্সটল দেন অথবা এপ্লিকেশন এড করেন, তখন অবশ্যই দেখেছেন,আপনার কাছে ফেসবুকের একসেস পারমিশন চাওয়া হয়। এই পারমিশন এক কথায় বলতে গেলে দেখা যায় আপনার সবকিছুই, অর্থাৎ, যখন আপনি পারমিশন দিয়ে দিলেন তার মানে হলো তারা চাইলে আপনার একউন্ট ব্যবহার করতে পারবে।এমনকি যখন আপনি লাইলে না থাকবেন তখন ও সম্ভব।
অন্যকথায়, আপনি যদি খেয়াল করে পারমিশন না পড়েন তাহলেই বিপদে পরবেন। বিশ্বাসযোগ্য এপ্লিকেশন পারমিশনে শুধু মাত্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চাইতে পারে আইডিতে ঢোকার পারমিশন নয়।
২। স্পামিং ভিডিও লিংক
ফেসবুক ব্যবহারে একটু সচেতন হোন, কারন স্পামাররা ফেসবুকে বিভিন্ন স্পামিং ভিডিও লিংক প্রচার করে থাকেন। দেখার আগ্রহ নিয়ে সেসব লিংকে ক্লিক করলেই বিপদে পরবেন। এসব ভিডিও লিংক বেশির ভাগই ফেসবুক হ্যাকিং লিংক। মনে রাখবেন ফেসবুকে কোন ভিডিও দেখতে হলে কখনোই আইডি পাসওয়র্ড চাইবে না। একটুখানি সচেতন না হলে ফেসবুক হ্যাকিং এর কবলে পরে যেতে পারে।
৩। ডাউনলোড নোটিফিকেশন
অনেক সময় যখন আপনি কোন ভিডিও দেখতে শুরু করেন তখন একটা নোটিফিকেশন পেতে পারেন, নোটিফিকেশনটা এমন হবে যে, সম্পর্ন ভিডিওটি দেখতে হলে আপনাকে এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল দিতে হবে অথবা ফেসবুক আপডেট করতে বলতে পারে। লিংকে প্রবেশ করে তথ্য শেয়ার করলেই বিপদ। তাই এসব ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
৪। ফেসবুক থেকে মেসেজ:
আপনার যদি ফেসবুকে কোন পপুলার ফ্যান পেজ থেকে থাকে তাহলে অনেক সময় কিছু মেসেজ পেয়ে থাকেন, যেমন ফেসবুক টিম, সিকুরিটি টিম, ফেসবুক সিকুরিটি ইত্যাদি।এগুলা হচ্ছে সেই মেসেজ যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে বধ্য করা হয়। ক্লিক করবেন তো মরবেন, সুতরাং এসব মেসেজকে এরিয়ে চলুন, ফেসবুক হ্যাকিং থেকে রক্ষা করুন।
ফেসবুক হ্যাক থেকে রক্ষা পাওয়ার আরো কিছু টিপস:
ফেসবুকেই নানান সিকুরিটি সিস্টেম চালু আছে, কিন্তু এই বিশাল সোসাল নেটওয়ার্ক কখনোই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রচারে বাধা দেবে না।এমনকি কোন লোকাল এন্টিভাইরাসও এগুলা রক্ষা করবে না। সুতরাং আপনার একাউন্ট রক্ষা করা আপনার দায়িত্ব।- ফেসবুকে আপনার ফোন নম্বর যুক্ত করুন এবং প্রাইভেসি পরিবর্তন করে Only Me করে দিন। যখন আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হবে তখন আপনার ফোন নম্বররের মাধ্যমে রিকভারি করতে পারবেন। লগিংএ অবশ্যই ফোন কোড ব্যবহার করুন।
- Security Question যুক্ত করুন এবং এমন উত্তর দিন যে উত্তর আপনি ছাড়া অন্য কেউ আন্দাজ না করতে পারে। তাহলে একাউন্ট হ্যাক হলে দ্বীতিয় অপশন হিসেবে আপনার একাউন্ট রিকভারী করতে পারবেন।
- যাদেরকে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন কেবল মাত্র তাদেরকেই আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টে যুক্ত করুন। অনেক সময় ট্যাগ করার জন্য ফেসবুক ফ্রেন্ডের পরিচয় জানতে চাইতে পারে (Photo varification)। অপরিচিত হলে পারিচয় দিতে পারবেন না।
- নোটিফিকেশন অন রাখুন,যখনআপনি ফেসবুক লগিং করবেন তখন আপনার ইমেইলে সময়, তারিখ,অপারেটিং সিষ্টেম, ব্রাউজার সহ ইমেইল চলে যাবে। তখন সব কিছু বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।
- মাঝে মাঝে আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বেপার। মাঝে মাঝে পাসওয়ার্ড পরির্তন করলে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা করতে পারবে না।
0 comments